ধর্মপাশায় প্রধান ও সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

১১ অগাস্ট ২০২২

সাদ্দাম হোসেন. ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ):

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও সহকারি শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে এলাকাবাসীর দুটি পক্ষ এ অভিযোগ করেছেন। একটি পক্ষ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। অপর পক্ষ জহিরুল ইসলামকে অন্যত্র বদলির দাবি জানিয়েছেন।

গত রোববার দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামের শাহ জাহানসহ ৪২ জন স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, রুহুল আমিন নিজের স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন। গত ১৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষকের সাথে জহিরুল ইসলামকে জড়িয়ে মানহানিকর অভিযোগ এনে তাদের (নারী শিক্ষক ও জহিরুল) বিষয়ে জরুরি সভা করা হয়। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলামকে অন্যত্র বদলির দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে গত বুধবার যতীন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ ২২৪ জন স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, জহিরুল ইসলাম বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে রুহুল আমিনের সাথে তর্কতর্কাতি জড়িয়ে যায়, বিষয়টি সমাধাও হয়। কিন্তু এখন জহিরুল তার অনৈতিক সম্পর্ক আড়াল করতে রুহুল আমিন ও এসএমসির সভাপতিসহ সবাইকে হেয় করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় উন্নয়নের অর্থ সহজে আত্মসাত করতে প্রধান শিক্ষক বারবারই এসএমসির পকেট কমিটি তৈরি করেন। সভাপতি একজন নারী। তাই তার স্বামী যতীন্দ্র চন্দ্র সরকার সব কাজ করেন।

প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি আড়াল করার জন্য তিনি (জহিরুল) স্থানীয় লোকজনের কিছু স্বাক্ষর জাল করে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করাচ্ছেন।

মুঠোফোন রিসিভ না করায় এসএমসির সভাপতি জ্যোৎসা রাণী সরকারের বক্তব্য জানা যায়নি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, দ্রুত এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর