‘পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবো, ঋণ কীভাবে শোধ করবো’

১২ অগাস্ট ২০২২

ভোলা প্রতিনিধি:

বুধবার রাতের ঘটনা। লালমোহনের চৌরাস্তার মোড় থেকে দেবিরচর বাজারে যাওয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তি মিরাজ হোসেনের রিকশাতে ওঠেন। যাওয়ার পথে পিছন থেকে আচমকা মিরাজের চোখে মলম লাগিয়ে দেন তারা। চোখ নিয়ে যখন ব্যস্ত ছিলেন চালক, তখন তার রিকশাটি নিয়ে যায় তারা। শুধু রিকশাই নয়, এ সময় তার কাছে  থাকা দুইশত টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায় ওই দু’জন।

ঘটনার পরে একদিকে বাবা-মাসহ ৫ সদস্যের সংসার চালানোর খরচ যোগার  অন্যদিকে রিকশা কেনার জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধের চিন্তায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মিরাজ হোসেন। রিকশা ফিরে পাওয়ার আশায় থানায় অভিযোগও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনো রিকশাটি ফিরে পাননি তিনি। মিরাজ হোসেনের বাড়ি উপজেলার ভোলার লালমোহন ‍উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের তারাগঞ্জ এলাকায়, মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে তিনি। বৃহস্পতিবার বিকালে থানা প্রাঙ্গনে বাকরুদ্ধ অবস্থায় বসে ছিলেন এ চালক। অনেক চেষ্টার পরে কথা হয় তার সঙ্গে।

মিরাজ জানান, গত দুই মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশাটি কিনেছিলেন তিনি। পরিবারে বাবা-মাসহ আমরা ৫ সদস্য রয়েছি। বড় ভাই বিয়ে করে এখন আর আমাদের খোঁজ নেন না। ১৭ বছর বয়স থেকে রিকশা চালিয়ে সংসারের হাল ধরি। অনেক বছর ভাড়ায় চালালেও গত দুই মাস রিকশাটি ক্রয় করি। সেই রিকশা নিয়ে গেছে মলম পার্টি। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কীভাবে চলবো আর ঋণ কীভাবে শোধ করবো- কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।

লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, রিকশা চালক মিরাজ এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর