বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমাদের নিত্যসঙ্গী মোবাইল ফোন। কাজ থাকুক আর নাই থাকুক একটু পরপর মোবাইল দেখা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাইতো মোবাইলটাকে আমরা সব সময় নিজের কাছেই রাখি। এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগ মূহুর্তের সময়ও বাদ যায় না। সবসময় যেন মোবাইল কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছি। সকাল থেকে রাত মোবাইল ছাড়া কিছুই বুঝি না। কিন্তু এ মোবাইল ফোন শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটির জন্য শরীরে নানা ধরনের জটিল রোগ হয়। এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। মোবাইল ফোন শরীরের কাছাকাছি রাখা স্বাস্থ্য জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন শরীরের কোষের বিকাশের বাধা সৃষ্টি করে। যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
গবেষকরা বলেছেন, ঘুমানোর সময় শরীর থেকে মোবাইল ফোনটিকে যদি কম করে ৩ ফুট দুরত্বে রাখা যায়, তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। মোবাইলে অ্যালার্ম সেট করার পর থেকে শুরু করে বন্ধ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এটি থেকে রেডিও ট্রান্সমিশন বের হতে থাকে। তাই ঘুমাবার আগে মাথার কাছে মোবাইল রাখলে এ অদৃশ্য তরঙ্গ শরীরে ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচতে করণীয়:
১. ফোনে কথা বলা কমান। দীর্ঘ ফোন কল এড়ানোর চেষ্টা করুন। আর যদি একান্ত এমনটা সম্ভব না হয়, তাহলে কয়েক মিনিট পর পর এক কান থেকে অন্য কানে ফোনটা নেবেন। এক ভাবে, এক কানে দিয়ে ফোনে কথা বলবেন না।
২. সম্ভব হলে ফোনে কথা বলার সময় হেড ফোন ব্যবহার করুন। এমনটা করলে ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৩. সিগনাল যেখানে ভালোভাবে আসছে না, সেখানে ভুলেও ফোন কল রিসিভ করবেন না। এমনটা করলে মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারণ সিগনাল দূর্বল থাকার সময় ফোন থেকে বেরুনো রেডিও ওয়েভের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ব্রেনের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে।
৪. প্যান্টের পকেটে অথবা বুক পকেটে ভুলেও ফোন রাখবেন না। এতে শরীরের একাধিক অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।