লোডশেডিংয়ে সাশ্রয় হচ্ছে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

১৪ অগাস্ট ২০২২

শিডিউল লোডশেডিং চালুর পর এখন পর্যন্ত সারাদেশে দৈনিক দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। শিল্প-কারখানায় জোনভিত্তিক সাপ্তাহিক ছুটির সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আরও ৫শ’ মেগাওয়াট সাশ্রয় হবে।  তাছাড়া অক্টোবর থেকে তাপমাত্রা কমে এলে তিন হাজার মেগাওয়াটের কুলিং লোড কমবে (বৈদ্যুতিক পাখা ও এসি)। তখন লোডশেডিংও তুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এর মধ্যে যদি বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে, তাহলেও নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহ আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে। এমনটাই আশা করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। গত ১৯ জুলাই থেকে দৈনিক এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

উৎপাদনজনিত বিদ্যুৎ ঘাটতিতে দীর্ঘদিন পরে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে দেশ।  উদ্ভুত সঙ্কট নিরসনে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে শিডিউল লোডশেডিং চালু করে সরকার। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত আটটার পর রাজধানী ঢাকায়  দোকান বন্ধ হলেও জেলা বা উপজেলায় পর্যায়ের চিত্র ভিন্ন। সেখানকার দোকানপাট বন্ধ করতে চাপ দেওয়ার মতো প্রশাসনিক লোকবল সঙ্কট থাকায়  সাশ্রয়ের লক্ষ্য পুরোটা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে লোডশেডিংয়ের শিডিউল পুরোটা মানা যাচ্ছে না। তবে  লোডশেডিংজনিত কষ্টটা এ মাসটাই করতে হবে। আগামী মাস থেকে লোডশেডিং কমে আসবে। এমনটাই জানা গেছে সূত্রে।

জানা গেছে- শিডিউল লোডশেডিংয়ের ফলে সাশ্রয় হওয়া বিদ্যুতের মধ্যে রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধজনিত সাশ্রয় ৫০০ মেগাওয়াট রয়েছে। বিশ্ববাজারে তেল ও এলএনজির দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুৎ খাতে জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেয় সরকার। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে আরও আড়াই মাসের মতো সময় লাগবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় জ্বালানির দাম বেশি। গ্যাস দিয়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, তেল দিয়ে সে পরিমাণ সম্ভব না। এ জন্য সাশ্রয়ের বিকল্প নেই। আর সাশ্রয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হতেই হবে। কেবল ঘোষণা দিয়ে সরকার বসে থাকলে কাজ হবে না, নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এদিকে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করার চিন্তা করছে সরকার। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ইতোমধ্যে দেশের কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের হোম অফিস দিয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর