স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী আজ ১৫ আগস্ট (সোমবার)। দিনটি জাতীয় শোক দিবস। দেশের সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ বেদনাকাতুর হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছেন। শোকের মাসসহ দিবসটি পালনে সরকারিভাবে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। সরকারের বাইরে বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
এবারের শোক দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সব স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৬ টায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮ টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল। দুপুর ১২ টায় টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বাদ জোহর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল; একইভাবে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় রাজধানী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা হবে।
সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। ঘাতকের ছোড়া বুলেটে সে রাত তার সঙ্গে শহীদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব , বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা পান তাঁরা।
এমকে