ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশনে গবাদিপশু সংক্রান্ত একটি প্রত্যয়নপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন মানুষ ট্রল করছে, বইছে সমালোচনার ঝড়। প্রত্যয়নে সই রয়েছে উপজেলার দুলার হাট থানার ১৬নং মুজিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের। প্রত্যয়নের লেখাতেও অসঙ্গতি রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বলেছেন, এ প্রত্যয়নের লেখা তার পরিষদের প্যাডে হলেও স্বাক্ষরটি তার নয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
সূত্রে জানা যায়, ইলিশা ফাঁড়িতে চোরাই সন্দেহে পুলিশ ১৩ টি মহিষ ও ২ টা গরু আটক করে। এসব গবাদিপশু নিজের বলে দাবি করেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহাজান গোলদারের স্ত্রী। কিন্তু থানায় গরু-মহিষ চুরি সংক্রান্ত কোনো জিডি না থাকায় আইনী জটিলতা দেখা দেয়। এদিকে শাহজাহান গোলদারের স্ত্রী এসব গবাদিপশুর মালিকানার প্রমাণ হিসেবে ওই প্রত্যয়নপত্র পুলিশের কাছে জমা দেন।
এ প্রসঙ্গে শাহাজান গোলদারের স্ত্রী প্রথমে বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব নিজে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর মোবাইলে কথা বলে বলেন, আমার দেবরে এনে আমাকে দিয়েছে। মুজিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল অদুদ বলেন, আমার মনে হয় প্যাড ও সাক্ষর তারা নকল করেছে। দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোরাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে