মারধরসহ ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

১৭ অগাস্ট ২০২২

সাদ্দাম হোসেন, ধর্মপাশা:

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের গড়াকাটা আব্দুল খালেক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মারধরসহ বিদ্যালয় থেকে বের দেওয়া হয়েছে। কাজটি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল। এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দুপুরে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা-মা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সাদিয়া আক্তার, সে সাদিয়া গড়াকাটা গ্রামের মরম আলী মেয়ে।

জানা যায়, সাদিয়া কয়েকদিন আগে তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী মঠো সড়কের পাশ থেকে কাদামাটি তোলে। মঙ্গলবার সকালে সাদিয়া বিদ্যালয়ে গেলে সাদিয়াকে অফিস কক্ষে ডেকে নেয় অভিযুক্ত শিক্ষক। এ সময় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামেন বলেন, তার এ মাটি তোলায় সড়কের ক্ষতি হয়েছে। সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হবে।  এ কথা বলে সাদিয়াকে বেত্রাঘাত ও গালাগাল করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়। বাড়িতে ফিরে বিষয়টি নিজের মা-বাবাকে জানায় সাদিয়া।

সাদিয়ার বাবা মরম আলী বলেন, জলিলের হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সাক্ষ্য না দেওয়ায় আমার মেয়ের সাথে এমনটি করেছেন জলিল। আমার মেয়ে আমার নামে রেকর্ডভুক্ত জমি থেকে মাটি তুলেছেন। প্রয়োজনে আমি রাস্তা ঠিক করে দিতাম।  কিন্তু জলিল মারধর করে মেয়েকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল জলিল বলেন, এখানে আরও ৩০/৪০ শিক্ষার্থী ছিল। সাদিয়াকে কোনো রকম বেত্রাঘাত বা মারধর করা হয়নি। ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, ওই ছাত্রীর মা-বাবা বিষয়টি আমাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর