পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে নিজের বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষকের কাছে চাঁদাবাজি করায় সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতির কাছে লিখিতভাবে এ সংক্রান্ত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম।
এদিকে বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ মানিককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানানো হয়, সহকারি প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম সদ্য এমপিওভুক্ত আমজানী পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক তার কাছে প্রায় সময়ই চাঁদা দাবি করেন। জনৈক পুতুলের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকাও দেন তাকে। পুনরায় চাঁদা দাবি করলে টাকা দিতে অপারগকতা প্রকাশ করায় ধর্ম অবমাননার দায়ে আশরাফুল আলমকে সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। পাশাপাশি যে বিদ্যালয়ের সভাপতি সেটির এমপিওভুক্তি বাতিল করবেন বলে হুমকি দেন। তাছাড়া আমজানী পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাহবুবুল আলমের মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকার মোবাইল দাবি করেন। এ সংক্রান্ত অডিও রেকর্ড অভিযোগকারীর হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে সুজার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে ও একটি অডিওর ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মো.সম্রাট হোসাইন/ এমকে