বিনিয়োগ হিসাব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারির পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ার বাজার। পাশাপাশি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার বিষয়টিও রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা । এতে এ বাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি। গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা। যেখানে আগের সপ্তাহে ১০ হাজার ২১০ কোটি টাকা পুঁজি হারিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে শেয়ার বাজারে বাজারমূল্যের বদলে ক্রয়মূল্যে করা হবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ হিসাব। এতে শেয়ারের দাম যতই বাড়ুক না কেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়বে না।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৭টির, বিপরীতে কমেছে ৪২টির, আর অপরিবর্তিত থাকে বাকি ৮৯টির। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। তার আগের সপ্তাহ শেষে মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৫ লাখ ৩ হাজার ২৬৬ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে সূচকগুলোর মধ্যে সবক’টিই যেখানে কমেছিল, সেখান গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৯২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২০ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও, প্রতি কার্যদিবসে গড়ে এর পরিমাণ ছিল ৯৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের দৈনিককার গড় লেনদেন ছিল ৮৯৬ কোটি ১ লাখ টাকা। তবে সপ্তাহ শেষে লেনদেনের পরিমাণ তার আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে, পরিমাণে ৭৪৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মোট লেনদেন কমার কারণ গত সপ্তাহে মাত্র তিন কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে।
আরেক শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গত সপ্তাহের লেনদেন ছিল ডিএসইর মতোই। সার্বিক সূচক ২৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ১৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৪টির, বিপরীতে কমেছে ৫৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৭টির। লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮২ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৪ কোটি ২২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৯ টাকা।
এমকে