ব্যবহার হবে ইভিএম

২২ অগাস্ট ২০২২

দেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা হবে। তবে, ইভিএমের ব্যবহার সবগুলো আসনে, নাকি নির্দিষ্ট আসনে হবে- সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। রোববার (২২ আগস্ট) সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের একজন মো. আলমগীর। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের ভাষ্য- যেসব আসনে ইভিএমের ব্যবহার হবে, সেখানে ব্যাপক প্রচারণা হবে। ইসি তার সক্ষমতা ও যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসনে এ মেশিন ব্যবহার করবে।

কমিশনার মো. আলমগীর জানান, ইভিএমের অসুবিধার চেয়ে সুবিধা বেশি। যেমন-ব্যালটে  ভোট গণনায় একবার ভুল হলে ১০ বার গণনা করবেন। ইভিএমে এ ঝামেলা নেই। অসুবিধার মধ্যে আছে- অনেকের আঙুলের ছাপ মেলে না। আঙুলের ছাপ না মিললে তাদের জন্য তো একটি পদ্ধতি আছে। অনেক সময় মনে হয়, এটা স্লো। আসলে মেশিনটা স্লো নয়। যারা জানেন, তাদের ১৫ সেকেন্ড লাগে ভোট দিতে। ইভিএমের পক্ষ যেমন আছে, তেমনই বিপক্ষও আছে। এতে একজনের ভোট অন্যজন দিয়ে দিতে পারে না, যেটা ব্যালটে করা যায়।

কমিশনার মো. আলমগীর আরো জানান, ইভিএমের কারচুপি নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও কেউ প্রমাণ করতে আসেনি। বিএনপি ইভিএম নিয়ে অভিযোগ তুললেও ইসির কাছে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি। তাই সে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। অন্য দলের মধ্যে যারা কারচুপির অভিযোগ দিয়েছে, সে অভিযোগ যাচাই করা হচ্ছে।। তবে যতক্ষণ না সেটার প্রমাণ না মিলবে, সেটা বিশ্বাস করা যায় না। কারচুরির বিষয়টি হচ্ছে অভিযোগ, প্রমাণিত নয়।

কমিশনার আলমগীর জানান, ইভিএম ব্যবহার করে ইতোমধ্যে বেশ কিছু নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনও আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে কোনও চ্যালেঞ্জ হয়নি, কোর্টে মামলাও হয়নি। কোনো প্রার্থীই বলেননি ইভিএমের কারণে হেরে গেছি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর