সময় মতো সংসদ নির্বাচন না হলে সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই সময় মতো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে এগুচ্ছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান। কোনও দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাও নির্বাচন করবে তারা। যারা আগ্রহী, তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে। কারণ কোনও দলকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব ইসির নয়, সংবিধান এ দায়িত্ব ইসিকে দেয়নি। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইসির অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের একজন মো. আলমগীরের বক্তব্যে এমনটাই জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
কমিশনার আলমগীর বলছিলেন, আগ্রহীদের নিয়ে নির্বাচন করার কথা সংবিধানে বলা আছে। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, এ কথা বলা নেই। তার কথায় ‘কোনও একটা দল না এলেও আমাদের নির্বাচন করতে হবে। না হলে আমরা সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হবো। আমরা বলবো, কোনও দল এলেও নির্বাচন হবে, না এলেও নির্বাচন হবে।’ তবে নির্বাচনের সময় এক বছরের বেশি থাকায় অনেক দল নির্বাচনে আসতে পারে বলেও আশা তার।
নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ইভিএমের ব্যবহার প্রসঙ্গেও কথা বলেন মো. আলমগীর। জানান, রাজনৈতিক সংলাপে ( বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি বাদে ৩৯টি দল অংশ নেয়) বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএমের পক্ষে মতামত দিয়েছে। কারও কারও মতামত আছে— শহরে, আবার অনেকেই বলেছেন গ্রামের কথা। শহরে ব্যবহারের যুক্তি দেখিয়েছেন- যেহেতু শিক্ষিত লোক বেশি, প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে সেখানে, তাই শহরে ইভিএম দেওয়ার মতামত আছে। গ্রামে দেওয়ার যুক্তি দেখিয়েছেন— গ্রামে না দিলে তারা জানতে পারবেন না। তবে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে তফসিলের সময়। সর্বনিম্ন ৭০-৮০টা, আর সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে, জানান মো. আলমগীর।
এবারের নির্বাচনে সেনা থাকছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার মো. আলমগীর। তবে সেটা ইভিএমে কারিগরি সহায়তা দিতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। এর বাইরে অন্য কোনও ভূমিকায় রাখার সুযোগ নেই। পুলিশ, বিজিবি, আনসারের মতো প্রতি কেন্দ্রে তাদের রাখা সম্ভব নয়, যোগ করেন নির্বাচন কমিশনার।
ইসির ওপর আস্থা প্রসঙ্গে বলেন এ কমিশনারের ভাষ্য- এ পর্যন্ত কোনও নির্বাচন কমিশন আস্থা অর্জন করেছে, সেটা বলা যাবে না। ইসি আইন-কানুন অনুযায়ী ন্যায় যেটা, সেটাই করবে। উভয় পক্ষকে খুশি করার সক্ষমতা ইসি রাখে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমকে