৫ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ কিনবে সরকার

শর্ত নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট

২৪ মার্চ ২০২২

আগামী দুই বছরে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ শর্তে দেশের পাঁচটি ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। এ জন্য ব্যয় হবে ৮ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। নতুন বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত বিদ্যমান ‘কুইক রেন্টাল’ শর্ত বিলুপ্ত করতে পারবে সরকার। বুধবার (২৩ মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত  প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী জানান,  এসব কেন্দ্র পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। সরকার দুই বছরের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। আগামী একবছরের মধ্যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তিনি জানান, পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে তিনটিই নারায়ণগঞ্জের। বাকি দুটির মধ্যে একটি যশোরের নোয়াপাড়ায়, অপরটি খুলনার গোয়ালপাড়ায়।

অর্থমন্ত্রী জানান, গত বছরে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ শেয় হয়। সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনবে না আর। কিন্তু  পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় এ বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল গত জুন থেকে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, খুলনার গোয়ালপাড়ার ১১৫ মেগাওয়াটের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যশোরের নওয়াপাড়ার ৪০ মেগাওয়াট কেন্দ্র থেকে কিনতে ৪৬০ কোটি টাকা, নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে সামিট পাওয়ারের ১০২ মেগাওয়াট কেন্দ্র থেকে কিনতে ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, মেঘনা ঘাটের ১০০ মেগাওয়াটের অরিয়ন পাওয়ার কেন্দ্র থেকে কিনতে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা আর সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াটের ডাচ বাংলা পাওয়ার অ্যাসোসিয়েট থেকে কিনতে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারের।

কুইক রেন্টাল প্রসঙ্গে মন্ত্রী মুস্তফা কামাল জানান, এটা এখন আগের চেয়ে ভিন্ন। এখন যতটুকু ব্যবহার করা হবে, ততটুকু মূল্যই দিতে হবে।  আগে বিদ্যুৎ পেলেও বা না পেলেও মূল্য পরিশোধ করতে হতো।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর