ইউরোপের বাজারে দাপুটে অবস্থানে বাংলাদেশ

২৯ অগাস্ট ২০২২

বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রফতানি বেড়েছে ২৪ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়কালের তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে এ প্রবৃদ্ধি বলে দিচ্ছে সেখানে তৈরি পোশাক খাতে দাপুটে অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।  ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা 'ইউরোস্ট্যাট' এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ অবস্থানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। যদিও সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা কারণে, খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি বিশ্ব বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রয় হ্রাস পাওয়ায় তাদের ইনভেন্টরি স্টক বাড়িয়েছে। এসব কারণে আগামী মাসগুলোতে ইইউ বাজারে দেশ থেকে রফতানি হ্রাসের প্রবণতা দেখা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে আরেক তথ্য বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ৫০১ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ডলারের। ২০২১ সালের একই সময়ে পোশাক রফতানি হয়েছিল ৩১৩ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ডলারের।

ইউরোস্ট্যাট' এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত  সময় চীন থেকে রফতানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, তুর্কি থেকে ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ভিয়েতনাম থেকে ২২ শতাংশ বেড়েছে।  কম্বোডিয়া ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, পাকিস্তান ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ২৫ শতাংশ ৩৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং মরক্কোর ২০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হয়েছে প্রবৃদ্ধি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের রফতানি  ৪০ শতাংশের বেশি বাড়েনি। বাংলাদেশের বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ, মাসভিত্তিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে জানুয়ারিতে ৪৬, ফেব্রুয়ারিতে ২৭, মার্চে ৫৩, এপ্রিলে ৩৫ ও মে মাসে ৬২ শতাংশ। এ খাতে ২০২০ সালের তুলনায় ৫৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে।

পরিসংখ্যান বলছে, এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানির পরিমাণ ৯.৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ আমদানির পরিমাণ চীন থেকে ১০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এ অর্ডারগুলো সব আগের। মাসে রফতানি প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারে উঠলেও এখন সেটা নিচের দিকে নামছে। এ মাসে প্রায় ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর