ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর রাশিয়ার ঘাড়ে চেপে বসেছে ইউরোপ। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেই চলেছে তারা। সেইসাথে ইউক্রেনকে অস্ত্রশস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে আমেরিকাসহ ইউরোপের কিছু দেশ। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল বিক্রিতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটি থেকে তেল কিনছে ভারত। এতে করে পশ্চিমাদের চরম চাপের মুখে পড়েছে দেশটি।
গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে আমেরিকার এ চাপ মোকাবিলা করেই মস্কো থেকে অশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তারা আমদানি তালিকার শীর্ষে চলে যাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমি বিশ্ব। এ ব্যাপারে ভারতের একটিই জবাব, শক্তির প্রশ্নে জাতীয় চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো বিবেচনা কাজ করছে না।
তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যত প্রলম্বিত হচ্ছে, আন্তর্জাতিক কূটনীতির হিসাব অনুযায়ী ভারত কত দিন এ যুক্তি ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। ভারত সফররত আমেরিকার রাজস্ব বিভাগের উপসচিব ওয়ালি অ্যাডিয়েমো কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করে বিশেষ করে এ বিষয়টি নিয়ে চাপ দিয়েছেন বলে খবর।
বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, “ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের সাথে কথা হয়েছে। রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত তেলের উপর দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া নিয়ে কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে আমাদের কাছে আরও জানতে চেয়েছেন। বিষয়টিতে তাদেরও আগ্রহ রয়েছে, কারণ ভারতও চায় কম দামে জ্বালানি। ভারতের লক্ষ্য তাদের বাণিজ্য ও বিপুল ঘরোয়া চাহিদার মেটানো। আশাকরি আমাদের লক্ষ্যের সাথে ভারতের লক্ষ্য মিলে যাবে। আমরা চাই রাশিয়ার রোজগার কমাতে।”