চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
তবে কী পাবনার চাটমোহর উপজেলায় মাদক সেবন-বিক্রি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে? সম্প্রতি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় মাদক নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। ওসি জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, মাদকের ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স নীতিতে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জোহার সঙ্গে। তার কথায়, প্রশাসনিক ভাষায় মাদক নিয়ন্ত্রণে আছে চাটমোহরে। কারণ, প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রি নেই। কিন্তু লোক চক্ষুর আড়ালে পরিস্থিতি, বিস্তার ভয়াবহ। ওদিকে সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে কিনা- এমন দুশ্চিন্তা ভর করছে অভিভাবকদের মাঝে।
চাটমোহরে যে মাদকের কেনাবেচা চলছে, সেটার বড় প্রমাণ মাদক কারবারিদের আটক। পুলিশ মাঝে মধ্যেই ছোট-বড় মাদকের চালানসহ আটক করছে মাদক ব্যবসায়ীদের। মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে ওসি জালালের ভাষ্য, খবর পাওয়া মাত্র আমরা মাদক কারবারিদের আটক করছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
উপজেলার মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের চিত্র ফুটে ওঠেছে যত্রতত্র মাদকের খালি মোড়ক বা বোতল দেখে। চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন পূর্বপাশের বাগানের খালি জায়গায় ফেন্সিডিলের খালি বোতলের ছড়াছড়ি দেখতে পাওয়া গেছে। ময়লার ভাগাড়সহ শহরের বেশ কিছু স্থানেও (আফ্রাতপাড়া, দোলং, চৌধুরীপাড়া উল্লেখযোগ্য) এ বোতল দেখতে পাওয়া যায়। কুমাড়গাড়া জীবননগর থেকে পৈলানপুর সড়কের মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে রাত হলেই মাদকসেবীদের আনাগোনা বাড়ে। গুনাইগাছা ইউনিয়নের ফলের বাগানগুলোতে সেবন চলছে। এর বাইরেও বিভিন্ন গ্রামেও মাদক সেবনের তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চাটমোহর পৌর সদরের জারদিস মোড়টি মাদক কারবারীদের বড় ট্রানজিট পয়েন্ট। পাবনা, বডাইগ্রাম, জোনাইল থেকে এ রুট হয়ে মাদকের চালান যায় বিভিন্ন স্থানে। মাদক পরিবহনের ক্ষেত্রে আভ্যন্তরীণ যে সব সড়কে সাধারণ মানুষের যাতায়াত তুলনামুলক কম, সেগুলো ব্যবহার হচ্ছে বেশি। জারদিস মোড়ে স্থানীয় কিছু চা স্টল-হোটেলে খানাপিনার আড়ালে মাদকদ্রব্য হাত বদল হয়। রেলবাজার ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিরাতে চলছে মাদক ব্যবসা। মাদক বিস্তার রোধে পাবনার পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সুশীল সমাজের বড় একটা অংশ।
এমকে