প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অহেতুক টাকা ব্যয় না করে পরিকল্পিতভাবে এগোনোর কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তাহলেই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি)- এর ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪৩তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে।
প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যেসব প্রকল্প একেবারে আশু শেষ করা প্রয়োজন, সেগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। যেগুলোর এখনই প্রয়োজন নেই, সেগুলো ধীরগতিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অনেক কাজই করা যায়নি। গত কয়েক বছর ধরে এ সমস্যাটা মোকাবিলা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যেন শহরমুখী না হয়, এজন্য তার সরকার চায়- গ্রামের মানুষ সব নাগরিক সুবিধা পাবে এবং গ্রামে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাছাড়া যুব সমাজ যেন স্বপ্রণোদিত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তার সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
সারাবিশ্বে একটা দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর প্রভাব থেকে আমাদের দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। তাই এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে। সবাই যার যা কর্মস্থল, গ্রামের জমিজমায় যতটুকু সামর্থ্য আছে, সেভাবে ফসল উৎপাদন করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এটুকু শক্তি আছে- কারও কাছে হাত পেতে আমরা চলব না। আমরা আমাদের মর্যাদা নিয়ে চলব। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব।
করোনা, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ শুধু আমাদের দেশ নয়, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে রেশনিং করছে। কাজেই আমাদেরও সেই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। যেহেতু বিভিন্ন পণ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, সেহেতু কৃচ্ছতা সাধন করতে হচ্ছে। এখন থেকে সবাইকে কৃচ্ছতা সাধন করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে। কোনো কিছুতেই যেন অতিরিক্ত ব্যয় না হয়- সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এমকে