‘নগদে’ টাকা দিলে মিলছে চুরি যাওয়া মিটারের হদিস!

০২ সেপ্টেম্বর ২০২২

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:

গেল ৩০ আগস্ট রাতের ঘটনা, চুরি হয় হাকিম উদ্দিনের নিজের রাইস মিলের বৈদ্যুতিক মিটার। মিটার বক্সে ঝুলানো পলিথিনে মোড়ানো চিরকুটে একটা মোবাইল নম্বর দেখতে পান হাকিম উদ্দিন ও তার ছেলে। এরপর সেই নম্বরে ‘কল’ দেন। অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়- ‘নগদে’ ৭ হাজার টাকা দিলে মিটারটি পেয়ে যাবেন তারা। কথা মতো ৫ হাজার টাকা পাঠানোর পর মিটারটির হদিস পান। ঘটনাটি পাবনার চাটমোহরের। হাকিম উদ্দিনের বাড়ি ভাদড়া পূর্বপাড়া এলাকায়।

শুধু হাকিম উদ্দিনের রাইস মিলেই নয়, এমন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে মথুরাপুর সড়কপাড়া পাম্পের পার্শ্বে থাকা ডেইরি চিলিং সেন্টারে, মহেশপুর এলাকার এএএ ইটভাটায়, বাওইকোলা এলাকার আরেকটি ডেইরি চিলিং সেন্টারে। এদিকে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়- কখন কারটা চুরি হয়। চাটমোহর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলছেন, এমন চুরির কোনো অভিযোগ পাননি তারা। নগদটা (ডাক বিভাগের) হচ্ছে মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।

ভুক্তভোগীরা ঘটনাটিকে সিণ্ডিকেট চক্রের কাণ্ড হিসেবেই দেখছেন। এমন ঘটনা যেন অন্য কারো ক্ষেত্রে না ঘটে সেটাও যেমন চাচ্ছেন, তেমনই তাদের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।

ভুক্তভোগী হাকিম উদ্দিন ও তার ছেলে ইয়াছিন সাংবাদিকদের জানান, টাকা পাঠানোর পর জানানো হয়- কাঠ বাদামতলা এলাকায় (তাদের মিলের পাশ্ববর্তী এলাকা) একটা বালুর স্তুপের মধ্যে আছে মিটারটি। সেখানে গিয়ে মিটারটি দেখতে পান তারা। তবে সে মিটার আর পূনঃস্থাপন করেননি, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (পবিস-১) জমা দিয়েছেন। সেখান থেকেই নতুন একটা মিটার নিয়েছেন, এতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার টাকা। পবিস-১ (চাটমোহর) এর গ্রাহক তারা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর