দেশের বাজারে তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। বর্ধিত মূল্য নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাছাড়া পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং হ্রাস চলমান থাকলে তা উন্নয়নের জন্যও ক্ষতিকর। তাই দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে সরকার, বিষয়টি জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে একই বিষয়ে কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানও। বক্তারা পণ্য কেনাকাটায় ভোক্তাদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, কেনাকাটার সময় পণ্যের মান ও মূল্য সঠিক রয়েছে কি-না, এ বিষয়ে ভোক্তাদের আরও সচেতন হতে হবে। সরকার তো কাজ করছেই, তারপরও পণ্যের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে কনসাস কনজুমার সোসাইটিকেও (সিসিএস) আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোক্তাদের কেনাকাটারও ব্যস্ততা বেড়ে যায় উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অধিক কেনাকাটার বৈজ্ঞানিক কোনো কারণ নেই। এছাড়া অধিক মুনাফার জন্য পুরনো পণ্য বিক্রি ও মিথ্যা বলে বিক্রির চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
জনসম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব নয় উল্লেখ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, প্রতিনিয়ত প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। প্রতিটি জায়গায় ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে। তার অধিদফতরের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ২১৭ জন সদস্য দিয়ে ১৮ কোটি জনগণকে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। ভোজ্যতেলের কারচুপির বিষয়ে জড়িত ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোক্তাদের প্রোডাকশন দিতে না পারলে ব্যর্থতা থেকেই যায়- যোগ করেন মহাপরিচালক।
এমকে