দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের রোড ম্যাপ

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

যথাসময়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে নিজেদের পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের রোড ম্যাপ দুই সপ্তাহের মধ্যে, আর ভোটার তালিকা আগামী বছর মার্চ মাসে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান। বর্তমান কমিশন চায়- সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, ধিমা তালে নয়। রাজনৈতিক দলগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও ইসির একার পক্ষে সেটা করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে মনে করছে ইসি। এ জন্য দলগুলোকে একদিকে সহায়তা করার আহবান জানিয়েছে, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে বলেছে ইসি।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সে ব্রিফ থেকেই এ বিষয় জানা গেছে। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সিইসি।

সিইসি জানান, সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক দলগুলো সারা বিশ্বে এ ভারসাম্য সৃষ্টি করে। তাই নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক সব দলের প্রতি আন্তরিকভাবে উদাত্ত আহবান জানান তিনি। তবে এটাও বলেছেন, নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলকে ধরে-বেঁধে আনবেন না তারা। কারণ, কোনো দলের রাজনৈতিক কৌশলে হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার ইসির নেই।

বিএনপি প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা রাজনৈতিক অন্যতম প্রধান দল। তারা যেটা চাচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো রকম বাধা নেই ইসির। তারা  অংশগ্রহণ করলে নির্বাচনটা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে।

ইভিএম প্রসঙ্গে সিইসি বলেন- ইভিএম নিয়ে বৈঠক হয়েছে, একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ৩০০, ১০০, ১০ বা ২০টা নয়, ইসি নিজস্ব বিবেচনায়, যৌক্তিকভাবে ব্যালট পেপারে ১৫০ আসন ও ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মেশিন নিয়ে অনেকে বিশ্বাস করেন, অনেকে করেন না। তবে ইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্ভর করবে এটা পাওয়া যাবে কিনা, তার ওপর। কারণ, এটার বেশিরভাগ পার্টস বিদেশ থেকে আসবে। ইভিএমের মধ্যে ওই ধরনের কারচুপি, এইটা সেইটা এবং কার্ডের মাধ্যমে কী সম্ভব, খতিয়ে দেখেছি। কারচুপির বিষয় কিন্তু পাইনি- যোগ করেন সিইসি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর