কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা:
গৃহস্থলী কাজের পাশপাশি শখের বসে ও সংসারে বাড়তি আয়ের জোগান দিতে চরফ্যাসন উপজেলার নারীরা বেছে নিয়েছে দেশি জাতের গৃহপালিত পশু পালন। বাণিজ্যিকভাবে গৃহিনীরা গরু, ছাগল, হাসঁ, মুরগী পালন করতে যথেষ্ট মনযোগী। এসব নারীর মূল লক্ষ্য কর্মহীন না থেকে সংসার এবং সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।
এমন এক নারী উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের উত্তর মাদ্রাজ গ্রামের গৃহিনী সেতারা বেগম। তিনি বসত বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন ছাগলের খামার। শখের বসে প্রথমে ১৮ হাজার টাকা খরচ দিয়ে দুটি ছাগল কিনে পালন শুরু করেন। কয়েকদিন পরে সেই ছাগল দুটি করে বাচ্চ দেয় । ধীরে ধীরে ছাগলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এবারের কোরবানির ঈদে দুটি ছাগল ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন । বর্তমানে তার ৯ টি ছাগল রয়েছে। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
সেতারা বেগম বলেন, মূলত তার ছেলেই গৃহপালিত পশু পালনে আগ্রহী ছিলো। ছেলের অর্বতমানে তার খামারের দেখভাল কর্মচারী করেন, তিনিও দেখেন। ছাগল পালনে খরচ কম বলেই খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। তার পরিশ্রম ও বিশ্বাস এখন সফলতা এনে দিয়েছে। ভবিষ্যতে আরো আকারের খামার দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ নারী। ছাগলের পাশাপাশি গরু পালনের ইচ্ছাও আছে তার।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, সঠিক প্রশিক্ষণ ও সরকারের সহযোগিতা পেলে গ্রাম অঞ্চলের নারীরা আরো বেশি গৃহপালিত প্রাণী থেকে আর্থিক সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
এমকে