মারা গেলেন অভিষেক

২৫ মার্চ ২০২২

মারা গেলেন কোলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তার প্রায়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়লো টলিউড। গত দু’-তিন দিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বুধবার রিয়েলিটি শো’তে তিনি অংশও নিয়েছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন । বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। জানা গেছে, মঙ্গলবার খাদ্যের বিষক্রিয়ায় প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিষেক।

 

ওই অবস্থাতেই শুটিং করেন। বুধবারও তিনি স্টার জলসার ‘ইসমার্ট জোড়ি’ রিয়্যালিটি শো’র শুটিং করেন। সেখানেই আচমকা প্রেসার নেমে আসে ৮০-তে। বাড়িও পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। সিনেমার জগতে পা দিয়েই নজর কেড়ে নেন অভিষেক। সেই সময় তাপস পাল, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় চুটিয়ে পর্দায় অভিনয় করছেন। এ দুই অভিনেতার পাশে নিজের মতো করেই নজর কেড়েছিলেন অভিষেক। একের পর এক ছবি তার ঝুলিতে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের তার প্রায় সব ছবিই ছিল সুপারহিট। ১৯৮৬ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম ছবি ‘পথভোলা’। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে একের পর এক সুপারহিট ছবি।

 

যার মধ্যে রয়েছে, ‘অমর প্রেম’, ‘ওরা চারজন’, ‘হারাণের নাতজামাই’, ‘পাপী’, ‘তুফান’-এর মতো সিনেমা। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশের বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিষেক। যারমধ্যে ‘মায়ের আশির্বাদ’, ‘মেজ বউ’, ‘সিঁথির সিঁদুর’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘লাঠি’, ‘আলো’, ‘চৌধুরী পরিবারে’র মতো ছবি জনপ্রিয় হয়েছিল। শুধু কর্মাশিয়ালই নয়, ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ‘দহন’ ছবিতেও আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন অভিষেক। জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে সিনেমার পর্দা থেকে সরে আসতে শুরু করেন অভিষেক। ভালো অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও নায়ক নন, বরং সহ অভিনেতার চরিত্রে প্রস্তাব পেতে শুরু করেন। এর বিরুদ্ধে অভিমান ও ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। টলিউডের রাজনীতি নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন টলিউডের সুপারস্টারদের বিরুদ্ধেও। বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। সিনেমা থেকে সরে গেলেও, অভিনয়কে আঁকড়ে ধরেই বেঁচেছিলেন অভিষেক। একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান ছোট পর্দায়ও। কিন্তু সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে জমে থাকা অভিমান নিয়েই শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন তিনি।


মন্তব্য
জেলার খবর