স্বস্তি ফিরছে চাল ও আটা-ময়দার বাজারে

১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশে একনাগারে অনেক দিন অস্বস্তিতে থাকা চালের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। টানা দুই সপ্তাহ ধরে কমছে দাম। গত সপ্তাহে কেবল মোটা চালের দর কমলেও এ সপ্তাহে সব ধরণের চালের দামই কমেছে। যদিও এখনো ৪৫ ( প্রতিকেজি) এর নিচে কোনো চাল পাওয়া যাচ্ছে না, গরীবের চালখ্যাত মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি দরে। এদিকে দাম কমেছে খোলা ময়দা ও আটারও। মোটা চালের মতো গত দুই সপ্তাহ ধরে কমছে মসুর ডালের দামও।

ব্যবসায়ীদের হিসাবে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিকন চালের (মিনিকেট ও নাজির) দাম কমেছে কেজি প্রতি  পাঁচ শতাংশের মতো। আর মোটা চালের (স্বর্ণা, চায়না ও ইরি) ক্ষেত্রে কমার পরিমাণ ১১ টাকার মতো। সপ্তাহ ‍দুয়েক আগেও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছিল কেজি প্রতি ৫৮ টাকায়। সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, মোটা চালের দাম কেজিতে ৮ শতাংশের মতো কমেছে।

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় (ওএমএস) সারা দেশে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এ চাল। এর প্রভাব পড়েছে মোটা চালের বাজারে।

টিসিবির তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে কেজি ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়া চিকন চাল এ সপ্তাহে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ। একইভাবে মাঝারি ধরনের চাল দুই টাকা কমে ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫৪ টাকা কেজি দরের চাল এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া খোলা আটা এ সপ্তাহে ৪৮ টাকা, আর ৬২ টাকা দরে বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা এ সপ্তাহে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি। যদিও প্যাকেট ময়দা আগের মতো ৭০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে । সপ্তাহের ব্যবধানে মসুরের ডাল কেজি প্রতি ১৩০ টাকা দরেরটা ১২৫ টাকায়, ১০৫ টাকারটা ১০০ টাকা আর ১৫০ টাকা দরেরটা ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর