পোশাক রফতানিতে অশনি সংকেত

১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম রফতানিবাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি ও মন্দার কারণে ইতোমধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে অর্ডার। আগামী তিন মাসে পোশাক রফতানি আরও কমবে। বিষয়টি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ’র নতুন ভবন বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাকের পরিস্থিতি তুলে ধরার সময় এ বিষয়টি জানান। এ সময় বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম, পরিচালক সেহেরিন সালাম ঐশী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দেশের পোশাক খাতকে বহির্বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’হবে আগামী ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর। এ সম্পর্কে জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বরে রফতানি ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্য গার্মেন্টস মালিকদের পোশাকের দাম না কমানোর আহবান জানানো হয়েছে। বলা হয়, শিল্পখাত থেকে রফতানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুইমাস- জুলাই ও আগস্টে প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল। কিন্তু এ দু‘মাসে লক্ষ্য করা গেছে ক্রয়াদেশ ক্রমশ কমছে।

সম্ভাব্য রফতানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে জানানো হয়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিশ্ববাজারের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার সংগ্রাম করছেন খুচরা বিক্রেতারা। অনেক ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রি কমেছে। এতে  আনসোল্ড স্টক বাড়িয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, দেশের তৈরি পোশাক খাতের ৮২ শতাংশ পণ্যই ৫টি আইটেমের। এখনও ৭৪ শতাংশ কটন বেইজড পণ্য রফতানি করা হয়।  কিন্তু বহির্বিশ্বে নন কটনের বাজার অনেক বড়। গার্মেন্টস মালিকরা এখন নন-কটনের বাজার ধরার চেষ্টা করেছেন বলে জানায় হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর