প্রশাসনের অভিযোগ- মূল্যবান চারণভূমিতে অবৈধভাবে ওই মাদ্রাসাটি গড়ে তোলা হয়েছিল। এসডিএম ও সিওসহ পাঁচ থানার পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে ওই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। গৌরীগঞ্জ থানা এলাকার গুজারটোলা গ্রামে চলছিল মাদ্রাসাটি, যার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল আদালতে। তহসিলদার আদালতের রায়ের পর গতকাল (সোমবার) রাজস্ব ও পুলিশের টিম বুলডোজার নিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রামে পৌঁছায়। মাদ্রাসার উপর বুলডোজার চালাতেই তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এ সময়ে পাঁচটি থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, অবৈধভাবে চারণভূমি দখল করে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছিল, যা আদালতের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৫টায় গৌরীগঞ্জের এসডিএম রাকেশ কুমারের নেতৃত্বে একটি টিম মাদ্রাসাটি ভাঙতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এতে গৌরীগঞ্জের এসডিএম, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শচীন যাদব, বিভিন্ন থানার পুলিশের পাশাপাশি দেড় কোম্পানি ‘পিএসি’ বাহিনী ছিল। সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা ৫ মিনিট পর্যন্ত চলা বুলডোজার ৩৫ মিনিটে মাদ্রাসাটি গুঁড়িয়ে দেয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাতে শান্তি বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জাতীয় সড়কের পাশে চারণভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল অবৈধ মাদ্রাসা। যেখানে গত ২ বছর ধরে একাডেমিক কাজ হচ্ছিল না। আদালতের নির্দেশে রাজস্ব ও পুলিশের টিম তা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ চলছে।
অন্যদিকে, মাদ্রাসা ব্যবস্থাপকের ছেলে শাকিল আহমেদ বলেন, এখানে ৮/১০টা গ্রামের ছাত্ররা পড়তে আসত। মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ও হিন্দিও পড়ানো হতো। প্রশাসন মাদ্রাসাটি ভেঙে দিয়েছে।
হিন্দি গণমাধ্যম ‘আজতক’ সূত্রে প্রকাশ, মাদ্রাসাটি ২০০৯ সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। এখানে কমপক্ষে ১২৫ জন শিশু দ্বীনি শিক্ষা নিচ্ছিল। ২০১৮ সাল থেকে গৌরীগঞ্জ তহসিলদার আদালতে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। বিবাদের জেরে গত দু’বছর ধরে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হচ্ছিল না বলে জানা গেছে। সূত্র: পার্সটুডে