সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চারদিনের সরকারি সফর করেন। সেখান থেকে তিনি শূণ্য হাতে ফেরেননি, সফরে দেশের অনেকগুলো অর্জন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এ সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। সফরের পুরো সময় জুড়ে ভারতের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ও সৎ প্রতিবেশী হিসেবে সমতা এবং শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দু’দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার লক্ষ্য করেছি।
সফরের অর্জন সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এখন একে একে সব উন্মুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া যৌথ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে দু’দেশ একমত হয়েছে। ভারতের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আসবে। পণ্য আমদানি করতে হয় আমাদের। সব জায়গায় অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়, সেটি নিয়েও কথা হয়েছে। কুশিয়ারার পানির বিষয়ে আমাদের যৌথ নদী কমিশনের মিটিং হয়েছে। দ্রুতই সেগুলো পেয়ে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তার সফরে দু’দেশের মধ্যে সাক্ষরিত অনেকগুলো সমঝোতা স্মারকের বিষয় জানান। এগুলো হচ্ছে- ১। সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের অধীনে কুশিয়ার নদী থেকে বাংলাদেশের ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক। ২। বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ে ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সিএসআইআর) সঙ্গে বাংলাদেশের সিএসআইআরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৩। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে ভারতের ভূপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমির মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৪। ভারতের রেলওয়ের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে বাংলাদেশের রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৫। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৬। ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ‘প্রসার ভারতীর’ সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সমঝোতা স্মারক। এবং ৭। মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে বিটিসিএল এবং এনএসআইএল-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
এমকে