সরকারের তরফ থেকে প্রতিবাদ জানানোর পরও মিয়ানমার থেকে একের পর এক গোলা এসে পড়ছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। শুক্রবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ির কোনারপাড়া এলাকায় নো-ম্যান্স ল্যান্ডে মিয়ানমার থেকে আসা একটি গোলা বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত ও পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে গোটা দেশকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না বাংলাদেশ। শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান চায়। তবে কাজ না হলে জাতিসংঘকে জানানো হবে। ওদিকে এ ঘটনায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবানও জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি আহসানিয়া মিশনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাওয়ার বিষয়টি জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই দিনে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ হস্তক্ষেপ কামনা ও আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদও জানায় দলটি।
সাংবাদিকে কাছে এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বার বার সতর্ক করা হলেও তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি।’তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার ভবিষ্যতে সংযত থাকবে আশা করছি। দেশটির কনফ্লিক্ট, গুলি তাদের সীমানায় থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী কামাল।
ওদিকে বিএনপি মহাসচিব জানান, সরকারের নতজানু ও দুর্বল কটুনীতির কারণে গত ২৮ আগস্ট শুরু হওয়া মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেড়ে চলেছে। সীমান্তে মর্টারশেল ছোড়ার এক সপ্তাহের মাথায় ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাহিনী বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছে। এটা সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
এমকে