জেলায় জেলায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

২৬ মার্চ ২০২২

সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস (২৬ মার্চ)। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে এদিন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।

বগুড়া থেকে দীপক কুমার সরকার জানান, ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে দিবসের সূচনা হয়। প্রথম প্রহরে ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, বগুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বগুড়া প্রেসক্লাব, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সংগঠন। দিনব্যাপী আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোতে। শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন হয়। বিশেষ আলোচনা সভা হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে।

চাটমোহর (পাবনা) থেকে এম. এ জিন্নাহ জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল এদিন। সকাল সাড়ে আটটায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয় আওয়ামী লীগের। বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলক ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আওয়ামী লীগ এর ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক, জেলা পরিষদের সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মাহবুব এলাহী বিশু, নাজিম উদ্দিন মিয়া, জুয়েল মির্জা, সাইদুল ইসলাম পলাশ,সাজেদা রহমান,সাজেদুর রহমান মাষ্টার প্রমুখ। আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া হয়। এছাড়া হয়েছে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। চাটমোহর ক্রিকেট একাডেমীর উদ্যোগে সকাল সাতটায় এ প্রতিযোগিতা হয়। এটা ছিল তাদের দ্বিতীয় আয়োজন।

ভোলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান শাহীন জানান, ভোরে একত্রিশ বার তোপধ্বনি মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। ভোলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ও বধ্যভূমিতে ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে পূষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া হয়। গজনবী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ  ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া সকাল সাড়ে ৬ টায় দিকে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ভোলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ও বধ্যভূমিতে পূষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।


এমকে
 


মন্তব্য
জেলার খবর