বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, সেই গতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। ২১০০ সালে দেশের মানুষ কীভাবে উন্নত জীবন পাবে— সেই লক্ষ্য নিয়েই তার সরকারের পরিকল্পনা। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী জয় বাংলার জয়োৎসব অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে বিষয়টি জানান। শনিবার (২৬ মার্চ) রাজধানী ঢাকায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উৎসবের উদ্বোধন হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনুষ্ঠানে।
দৃঢ়তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আর কেউ কোনো খেলা খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়েও কখনোর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, শিক্ষা-দীক্ষা-প্রযুক্তি জ্ঞান সব দিক থেকে যেন বাংলাদেশে এগিয়ে থাকতে পারে, সে জন্য সুবর্ণজয়ন্তীর পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাবো। স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে আগামী প্রজন্ম। তাদের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আমাদের বর্তমানকে আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করছি- যোগ করেন শেখ হাসিনা।
দেশের অতীত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে অন্ধকার যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে তার স্বাধীনতার চেতনা, জয় বাংলার স্লোগান, ৭ মার্চের ভাষণ আর বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবি নিষিদ্ধ হয়। এভাবে ২১টি বছর দেশের বিজয় ইতিহাসকে পদদলিত করা হয়, মন্দ ইতিহাস ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সত্যের জয় হবেই, আজ হয়েছেও।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছরই দেশের উন্নয়ন হয়নি। জাতির পিতার ক্ষমতাকাল এবং ১৯৯৬ সালে তার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষ কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। পরবর্তীতে তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশে। প্রতিটি ঘর আলোকিত হয়েছে। তিনি জানান, দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। এটাও নিশ্চিত করবে তার সরকার। ইতোমধ্যে এ পথে অনেক দূর এগিয়েছি তারা। পরিকল্পনা হয়েছে ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে। মানুষ কীভাবে উন্নত জীবন পাবে সেজন্য ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান করা হয়েছে।
এমকে