গত কয়েক বছরে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ বাড়ছে বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত জমা আছে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুত ৪৮.৫৪ বিলিয়ন ডলার ( স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা)। যদিও সক্ষমতার অনেক কম বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে। আর এ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়বে আগামীতে। এখনো স্বল্প সুদের ঋণ বেশি পাচ্ছে বাংলাদেশ। মোট ঋণের ৭৬.৯৫ শতাংশ ফিক্সড রেটের বা স্বল্প সুদের ঋণ। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এইসি সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ এখনও গ্রহণ সীমার মধ্যেই আছে। জিডিপি( মোট দেশজ উৎপাদনের) ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে, ঋণ নিচ্ছে ১২.৯৪ শতাংশ। এছাড়া রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে ঋণের মাত্রা ১৮০ শতাংশ। সেখানে রয়েছে ৮৫.৫৭ শতাংশ।
সেমিনারে আরও জানানো হয়, ১৯৭২-৭৩ শুরু করে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ১৬৯.৪৯ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে অর্থ ছাড় হয়েছে ১১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার। এখনও পাইপলাইনে পড়ে আছে ৪৮.৫৪ বিলিয়ন ডলার। সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংক থেকে, ৩২ শতাংশ।
এমকে