সরকার চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করলেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) মনে করছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে এবারের প্রবৃদ্ধি। অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউট লুক’- শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এমন ধারণা করা হয়েছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় এবং বিভিন্ন পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে, দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। কারেন্ট এ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স (ঘাটতি) হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তার কারণে দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিও আছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিদ্যমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা এবং জ্বালানি ঘাটতির কারণে বেসরকারি বিনিয়োগের বৃদ্ধি কম হবে। রাজস্ব আদায়ে ধীর গতি এবং উচ্চ আমদানি ব্যয়ের সঙ্গে সরকারি কৃচ্ছ্রতা ব্যবস্থার প্রভাবে সরকারি বিনিয়োগের বৃদ্ধিও ধীর হবে।
এডিবি বলছে, করোনার আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবেলা করতে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৭ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে এডিবি। পাশাপাশি আগামী ২০২৩-২০২৫ সময়ের জন্য প্রায় ৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা কর্মসূচি নিচ্ছে তারা।
এমকে