প্রাণহানি ঘটতে পারে লাখ লাখ

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভবিষ্যতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স সংকটে পরিণত হতে পারে। এতে সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এ সংকট থেকে বাঁচতে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর)  ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নিউইয়র্কে ল্যাক্সিংটন হোটেলে এ অনুষ্ঠান হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস ও প্যারাসাইট যখন বিভিন্ন কারণে নিজের ভেতরে পরিবর্তন নিয়ে আসে; যখন এদের বিরুদ্ধে ওষুধে কাজ করে না, তখন সেটা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স। এএমআরের কারণে ইনফেকশন চিকিৎসা কঠিন হয়, রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে মৃত্যুও হতে পারে। অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহারের ফলে এটা তৈরি করছে।

এএমআর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। নভেম্বর মাসে বার্ষিক বৈশ্বিক সচেতনতা সপ্তাহ একটি উপযুক্ত উপলক্ষ্য হতে পারে। গ্লোবাল লিডারশিপ গ্রুপ থেকে আমরা ইস্যুটিকে সবার নজরে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ ইস্যুতে আরও বেশি কিছু করার দরকার। কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এমআর মোকাবিলায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে অর্থপূর্ণ সহায়তা করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। বলেন, বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায় এএমআরের জন্য শক্তিশালী বিনিয়োগ প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এএমআর নিয়ে উদ্বেগের প্রধান কারণ তুলে ধরেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, উদ্বেগের প্রধান কারণ- নতুন এএমআর ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের অভাব। এ জন্য বেসরকারি সেক্টরের প্রণোদনা প্রয়োজন। কিছুট জটিল জীবাণুর জন্য অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স বাড়ার ঝুঁকি আছে। এ বিষয়ক সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ সবার চোখ খুলে দেবে।

টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি এএমআর সূচক তৈরি করা হয়েছে।  সূচকগুলোর ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে মানুষ ও পশুর স্বাস্থ্য, খাদ্য ব্যবস্থা এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে- এমন এএমআর নীতিগুলোকে উন্নত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন শেখ হাসিনা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর