জ্বালানি তেলের দর কমছে বিশ্ববাজারে

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় জ্বালানি তেলের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে বিশ্ববাজারে। এতে দাম কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ তেলের দর গত জানুয়ারির দরের সমান হয়ে যায়। ব্রেন্ট ক্রড ব্যারেল প্রতি ৮৫ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি দরে বিক্রি হচ্ছে। মার্কিন ডলারের শক্তিবৃদ্ধির  ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সোমবার ব্রেন্ট ক্রুডের ফিউচারের দর ব্যারেল প্রতি ১.৩৫ মার্কিন ডলার, শতাংশের হিসাবে ১.৫৭ হ্রাস পেয়েছে। আর ১.১৫ মার্কিন ডলার (১.৪৬ শতাংশ) কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ব্রেন্ট ক্রুডের ফিউচারের দরও। এ দুই বেঞ্চমার্কেরই  ব্যারেল প্রতি ৭৭ থেকে ৭৮ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে ফিউচার। এর দর  অবশ্য সামনের নভেম্বরের জন্য।

এদিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় তেলের ব্যবহার কমানো পথে রওনা দিয়েছে ভোক্তা দেশগুলো। এতে তেলের চাহিদাও আগের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে সোমবার পাউন্ডের মান কমে গেছে। এটাকে আশনিসংকেত হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, এ কারণে সাবধানতা অবলম্বন করছে অন্যান্য দেশগুলোও।

অপরদিকে মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বজুড়ে প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে মন্দার আশঙ্কার পালে হাওয়া জোরো শোরে লেগেছে। ওদিকে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক স্যাক্সো তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে তেলের বাজার। শুক্রবার থেকে পেট্রলিয়ামের ওপর চাপ লাগামহীনভাবে অব্যাহত রয়েছে। ডলারের শক্তিবৃদ্ধি অন্যান্য অর্থনীতিতে যে হতাশার সৃষ্টি করেছে, সেটাই মূলত কারণ তেলের দর হ্রাসের। তবে তেলের দর হ্রাসে লাভবান হবে ছোট অর্থনীতির ভোক্তা দেশগুলো। যদিও তেলের দরপতন ঠেকাতে এখন তেল উত্তোলনকারী দেশগুলোর জোট- ওপেক বা ওপেক প্লাস নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে কি-না, সেটাই দেখার বিষয়।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর