রাজধানী ঢাকায় নীলক্ষেতের পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে হামলার বিষয় অস্বীকার করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেছেন, ছাত্রদলকে সাধারণ ছাত্র-জনতা গণধোলাই দিয়েছে। হামলার ঘটনার পর ছাত্রলীগ উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সনজিত চন্দ্র দাস।
জানা গেছে, নীলক্ষেত মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ দিয়ে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বাধার মুখে পড়েন তারা। ছাত্রদল বলছে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাঠ, রড, স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা করে তাদের ওপর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করে পিছু হটে। হামলায় ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সনজিত চন্দ্র দাস বলেন- যারা বলছে ছাত্রলীগ তাদের মেরেছে, আসলে তাদের ফোবিয়া হয়েছে। তারা যেখানেই মার খায়, বলে ছাত্রলীগ তাদের মেরেছে। নীলক্ষেত মোড়ে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পথ আটকায়। তাই সাধারণ ছাত্র-জনতা তাদের ওপর হামলা করেছে। তিনি জানান, ছাত্রলীগ কর্মীরা দলের কনসার্নের বাইরে কোনও কাজ করে না। আমরা বলতেই পারি তারা এটি মিথ্যাচার করছে। তারা ছাত্রলীগকে কলুষিত করার জন্য এ কাজ করেছে।
সনজিত বলেন, ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। তাই তারাও রাজনীতি করতে পারে। কিন্তু, ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করলে সাধারণ শিক্ষার্থী যে কাউকে প্রতিহত করতে পারে।
এমকে