পোশাক রফতানিতে বইছে সুবাতাস

০২ অক্টোবর ২০২২

তৈরি পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, বিশ্বের মধ্যে পোশাক রফতানির শীর্ষে থাকা চীনকেও প্রায় ছুঁয়েছে লাল-সবুজের পতাকার দেশ। শীর্ষে থাকা চীনের পরের অবস্থানেই বাংলাদেশ। যেখানে চীনের রফতানি ১২.২২ বিলিয়ন ডলার, সেখানে বাংলাদেশের রফতানি ১১.৩১ বিলিয়ন ডলার। সারাবিশ্ব থেকে ২৫ শতাংশ বাড়লেও বাংলাদেশ থেকে বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। ইউরোপের বাজারের এমন পরিস্থিতি চলতি বছরের গত ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুলাই)। ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

করোনা পরবর্তী কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের খুচরা বিক্রয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। এ কারণে ইউরোপের বাজারে পোশাক রফতানি বেড়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন তৈরি পোশাক সংশ্লিষ্টরা। তবে চলমান মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্দার কারণে বছরের বাকি সময়টাতে এ ধারা কতটা টিকে থাকবে, সেটা ভাবনার বিষয় বলেই মনে করছেন তারা।

তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় এ ছয় মাসে ইউরোপে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৩.৪৯ বিলিয়ন ডলার (৩৪৯ কোটি ডলার)। পোশাক রফতানি হয়েছে, ১১.৩১ বিলিয়ন ডলার। গতবছরে (২০২১ সালে) এ আয় ছিল ৭.৮২ বিলিয়ন ডলার।  বছর ব্যবধানে ইউরোপে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪৪.৬০ শতাংশ। তথ্যানুযায়ী, এ ছয় মাসে চীন থেকে ইউরোপের পোশাক রফতানি বেড়েছে ২১.৭৮ শতাংশ। পোশাক রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.২২ বিলিয়ন ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উৎস তুরস্ক থেকে পোশাক রফতানি বেড়েছে ২০.৩৮ শতাংশ। রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৮৯ বিলিয়ন ডলার। এ বাজারে কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে পোশাক রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৪.৯০, ৪০.১৫, ৩২.২৮ ও ২৮.৬৪ শতাংশ।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর