মালয়েশিয়াকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরল বাংলাদেশের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার নারী এশিয়া কাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ৮৮ রানের বড় পায় বাঘিনীরা। আগে ব্যাট করে নির্দিষ্ট ওভার শেষে ১২৯ রানের পুঁজি গড়ে। দলের হয়ে মুর্শিদা খাতুন ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি অর্ধশত রান করেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪১ রানেই গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া। দুর্দান্ত বল করে মালয়েশিয়ার ভীত কাঁপিয়ে তোলেন অভিষিক্ত টাইগ্রেস পেসার ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। তিনি দলটির বিপিক্ষে হ্যাটট্রিকও করেন।
প্রতিপক্ষের কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেনি। এলসা হান্টার ও নুর আরিয়ানা নাতসায়ার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৯ রান। বল হাতে ৪ ওভারে ১২ রানে নেন তিন উইকেট নেন ফারিহা তৃষ্ণা। লেগস্পিনার ফাহিমা খাতুন ৩ ওভারে ৮ রানে ২টি, বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার ২ ওভারে ৪ রানে দুই উইকেট নেন। ২ ওভারে ১ রান দিয়ে আরেক লেগি রুমানা আহমেদের শিকার ২ উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছেন অফস্পিনার সালমা খাতুন।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে হেরে যায় টাইগ্রেসরা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটাররা রানে ফেরেন। একাদশে জায়গা পেয়েই ফিফটি হাঁকিয়ে আস্থার প্রতিদান দেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। যদিও এদিন ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগ্রেসরা। প্রথম বলেই শূন্য হাতে ফেরেন ওপেনার শারমিন সুলতানা। এরপর ফারজানা হক পিংকিও ব্যর্থ। ২৪ বলে মাত্র ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফারজানা। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ রানের বড় জুটি গড়েন মুর্শিদা খাতুন ও অধিনায়ক জ্যোতি। ৫৪ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করেন মুর্শিদা। ৩৪ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন নিগার সুলতানা। এরপর বল হাতে বাংলাদেশকে পথ দেখান ফারিহা তৃষ্ণা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। তার শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরত যান উইনিফ্রেড দুরাইসিংহাম, মাস এলিসা এবং মাহিরা ইজ্জাতি ইসমাইল। এরপর জোড়া আঘাত হানেন ফাহিমা খাতুন। তিন রানের ব্যবধানে তিনি তুলে নেন এলসা হান্টার ও আইনা হামিজা হাশিমের উইকেট। ২৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে মালয়েশিয়া। আর ৩৬ থেকে ৪১- এই ৫ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট পড়েছে তাদের। সানজিদা আক্তারের বলে আউট হন আইনা নাজওয়া ও আসিয়া এলিসা। ১৬তম ওভারে এসে রুমানা আহমেদ বোল্ড করেন নুর আরিয়ানা নাতসায়া ও নুর হায়াতি জাকারিয়াকে। দলীয় ৪১ রানে সালমা খাতুনের বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন নুর দানিয়া সয়ুহাদা। ম্যাচসেরা হয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম আমরা। উইকেট মন্থর ছিল। তবে আমরা মানিয়ে নিয়েছি। আমরা একটা মোটামুটি ভালো স্কোর দাঁড় করাতে চেয়েছিলাম। মুর্শিদা দারুণ ব্যাট করেছে। আমাদের বোলাররাও ছিল দুর্দান্ত। যদিও ব্যাটিংয়ে আমাদের শুরুটা খানিকটা ধীর গতিতে হয়েছে। আমি মুর্শিদাকে বলছিলাম- যদি ১৯তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে টিকতে পারি তাহলে একটা ভালো সংগ্রহ পাওয়া যাবে। প্রথম পাঁচ ওভার আমি দেখেশুনে খেলেছি। জানতাম, যদি উইকেটে টিকতে পারি তাহলে ১৩০ সম্ভব।’