বর্গীরা আসত, দখল করত, লুট করে নিয়ে আবার চলে যেত উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশটাকে বর্গীদের রাজত্ব কায়েম করেছে। বর্গীদের মতোই একইভাবে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, তাদের নেতা ও বংশবদরা লুট করছে, লুট করে নিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী উলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছি। এ সময় যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ না হলে এদের পরাজিত করা যাবে না। কারণ এরা ফ্যাসিস্ট শক্তি, এ শক্তিকে পরাজিত করা একটা গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে খুবই কঠিন। তিনি জানান সামনে একটাই পথ খোলা আছে- এ সরকারকে সরিয়ে দেব আমরা। কারণ, তারা ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে, তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে।
রাজনৈতিক সব দলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন,, তাদের এ কাতারে আনার চেষ্টা করছি। সবার আগে যে কাজটা করতে হবে- প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব আরও জানান, নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। এ কমিশন একটি নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে একটা পার্লামেন্ট গঠন করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উলামা দলের আহ্বাবায়ক অধ্যক্ষ শাহ নেছারুল হক, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রমুখ।
এমকে