নির্বাচনের সময় নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগে কঠোর অবস্থানে থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) । নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মাঠ কর্মকর্তাদের কাজও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাদের দায়িত্ব পালনে কোনও শৈথিল্য সহ্য করা হবে না। তাছাড়া কর্মকর্তাদের দলীয় কর্মীর মতো নয়, সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি। কমিশন আশা করছে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূকই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না বলেও মনে করছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান। শনিবার (৮ অক্টোবর) দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে ইসির মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে পূর্ব নির্ধারিত এ সভা হয়।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের হুঁশিয়ার করে সিইসি বলেছেন, জনগণ ভাবতে পারে একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন- নির্বাচন বিষয়ে এমন কোনও কিছু কোনও অবস্থাতেই যেন আচরণে প্রতিফলিত না হয় আপনাদের। দলনিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে। গণকর্মচারী হিসেবে সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। কর্মে কখনও নিজেদের দলীয় কর্মী ভাববেন না বা মনে করবেন না। নির্বাচনের সময় যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে হয়রানি করা না হয়। ডিসি-এসপিরা নিরপেক্ষ আচরণ করবেন বলে সভায় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন, জানান সিইসি।
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধান ইসির কাজ নয় জানিয়ে সিইসি বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ অবস্থানের কারণে বিভাজন রয়েছে। আশা করি রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের সদিচ্ছা ও প্রজ্ঞা দিয়ে যে কোনও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করবেন। তিনি জানান, রাজনৈতিক বিষয়ে ইসি অনুপ্রবেশ করতে পারে না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিকদের সমাধান করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এর অধীনে এনফোর্সমেন্ট বাহিনীগুলো থাকবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হতে পারে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতারা ইসির অধীনে থাকবে। তারা ইসির যে কোনও নির্দেশনা মানতে বাধ্য থাকবে। অবাধ্য হলে করণীয় দেখবে ইসি।
এমকে