বগুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১জনের যাবজ্জীবন

১০ অক্টোবর ২০২২

বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ায় ১৯ বছর পর আলোচিত শাহজাহান হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে মামলার আসামি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাসহ ১১জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমান অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের সশ্রম জেল খাটতে হবে।

সোমবার(১০অক্টোবর) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাছিমুল করিম হলি।

দণ্ডিতরা হচ্ছে - বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউপি  চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা, বিপ্লব মিয়া, রাসেল মিয়া, জুয়েল প্রাং, সবুজ আকন্দ, উজ্জ্বল আকন্দ, আঃ মান্নান, পিলু খন্দকার, মোখলেছার রহমান মুকুল, আঃ হামিদ খোকা আকন্দ এবং জাহেদুর রহমান। এদের মধ্যে বিপ্লব, রাসেল ও জুয়েল পলাতক। বাকি সবাই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৯ ফেরুয়ারির নির্বাচনে শেখেরকোলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জনৈক আব্দুস সাত্তার খা এবং রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট রশিদ মৃধা জিতলে ১১ ফেব্রুয়ারি তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন স্থানে উল্লাস এবং সৌজন্য সাক্ষাত করেন। পথিমধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শেখেরকোলা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান ও একই এলাকার আব্দুল মান্নানের সাথে রশিদ মৃধার  দেখা হয়। এ সময় ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে শাহজাহানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। রশিদ মৃধার এমন হুমকিতে তার সহযোগীরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে শাহজাহানের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা শাহজাহানকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন ১৩ ফেব্রুয়ারি মারা যান শাহজাহান আলী। পরে ওইদিনই রশিদ মৃধাকে প্রধান আসামিকে ১১জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই মাহমুদূর রহমান।

 

দীপক কুমার সরকার/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর