দেশের বিভিন্ন জেলায় ভরাট হয়ে যাওয়া সরকারি সব জলমহাল পুনঃখনন ও সংস্কার করা হবে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। মৎস্য আহরণ বাড়াতে পারলে খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। ভরাট হয়ে যাওয়া সরকারি জলমহাল পুনঃখনন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির সভায় এ নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিল, হাওর, বাওর, নিম্ন জলাভূমি ও নদ-নদীতে মৎস্য আহরণ সংশ্লিষ্ট এলাকাকে জলমহাল বলা হয়। এক হিসাবে দেখা গেছে, দেশে ছোট-বড় মিলে জলমহালের সংখ্যা ৩৮ হাজারের কাছাকাছি।
সভায় সরকারি ২০ একরের ঊর্ধ্বে ১৩৭টি জলমহালের ইজারা ৬ বছরের জন্য অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন হয়। দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ প্রস্তাব করা হয়। সভায় ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এবং মন্ত্রণালয়ের সায়রাত মহাল শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইজারার জন্য প্রস্তাবকৃত জলমহাল সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
প্রসঙ্গত বেশ কয়েকটি জলমহাল ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে ইজারাবিহীন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের রামসাগর, সিরাজগঞ্জের হুরাসাগর, মাছের অভয়াশ্রম সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওড়, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড় উল্লেখযোগ্য।
এমকে