১৪২৫-২৬ বঙ্গাব্দে দেশের ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার। বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় অবদান রাখায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান  কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদপত্রের পাশাপাশি স্বর্ণপদকের ক্ষেত্রে এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদকের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপদকের ক্ষেত্রে  ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দে এ পুরস্কার পাচ্ছেন ১৫ জন। এর মধ্যে স্বর্ণপদক পাচ্ছেন একজন, বগুড়ার শেরপুরের প্রাণিসম্পদ দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রায়হান। রৌপ্যপদক পাচ্ছেন সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আছে- পিরোজপুরের নাজিরপুরের বদরুল হায়দার বেপারী ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হামিদুল হক, ঝিনাইদহ সদরের শারমিন আক্তার, পাবনার আটঘরিয়ার দুলাল মুখা, সাভারের কোব্বাদ হোসাইন ও রাজশাহীর গোদাগাড়ির মনিরুজ্জামান মনির এবং প্যারামাউন্ট এগ্রো লিমিটেড। ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছেন সাত জন। এর মধ্যে রযেছে  রাজশাহীর তানোরের নুর মোহাম্মদ, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার বারেক হাওলাদার, রংপুরের বুড়িহাটের হর্টিকালচার সেন্টারের মজিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শফিকুল ইসলাম, নওগাঁর পোরশা উপজেলার গৌতম কুমার সাহা, রাজশাহীরর পুঠিয়ার মোছা. পূর্ণিমা বেগম ও  ঢাকার নবাবগঞ্জের নিপু ট্রেডার্স।

১৪২৬ বঙ্গাব্দে ২৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পাচ্ছে। এর মধ্যে স্বর্ণপদক পাবেন দুই জন- রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এবং পাবনার ঈশ্বরদীর আমিরুল ইসলাম। রৌপ্যপদক পাচ্ছেন ৯ জন- ঢাকার শেরেবাংলা নগরের মুহাম্মদ রকিবুল আহসান রনি, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন, খুলনার খালিশপুরের হালিমা বেগম, যশোরের ঝিকরগাছার নাসরিন সুলতানা, সিলেটের আব্দুল হাই আজাদ বলা, মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম, খুলনার ডুমুরিয়ার আবুল হোসেন সরদার, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর বাবুল হোসেন। ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছেন ১৮ জন- দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জের সহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির মহালছড়িরর হ্লাশিং মং চৌধুরী, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের গাজী মামুদ, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মাহবুবুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের রিনা বেগম, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোমরেজ আলী, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী, পাবনার ঈশ্বরদীর শাহীনুজ্জামান, বান্দরবানের তোওয়াব্রোয়াও ম্রো, ফেনীর মজিবুল হক, মুন্সীগঞ্জের সিরাজ খান, টাঙ্গাইলের মধুপুরের ছানোয়ার হোসেন, রাঙ্গামাটির রাজস্থলির আবদুল আউয়াল, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের শাকিল মিয়া, নড়াইলের তনিমা আফরিন এবং দিনাজপুরের রাখী।

এমকে