দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি কঠোরভাবে করতে হবে। নীতিমালাগত সহায়তার পাশাপাশি পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। আর কেউ যেন অহেতুক পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সে জন্য খেয়াল রাখতে হবে। সংশ্লিষ্টদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সভায় যুক্ত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান- বৈশ্বিক বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সবাইকে অপচয় রোধ করার, অপ্রয়োজনে খরচ না বাড়ানোর কথা সভায় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। খাদ্যশস্য, অর্থ, বিদ্যুৎ ও পানি- সব ক্ষেত্রেই সঞ্চয় করার কথা বলেছেন। খাদ্যের অভাব পূরণে উৎপাদন বাড়ানোরও কথাও বলেছেন।
দেশের সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা একটি প্রতিবেদন একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, শঙ্কা থাকলেও এখনও দেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলো ভালো অবস্থানে আছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে গত তিন মাসে বেশি রেমিটেন্স এসেছে দেশে। রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৩৮ শতাংশে, গত অর্থবছরে এ সময়ে ছিল ১১ শতাংশ। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমদানি কমে ১৬.৯২ শতাংশ হয়েছে, যা আগের অর্থবছরে বেড়েছিল ৪৫ শতাংশ। সরকারি বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে হয়েছে ৩.৬৩ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ২.৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি পরিকল্পনা মতো মুদ্রা সরবরাহ কমে ৮.১ শতাংশ হয়েছে, গত অর্থবছরে ছিল ১১.৬ শতাংশ। বেসরকারি ঋণ প্রবাহ বেড়ে হয়েছে ১৪ শতাংশ, আগের অর্থবছরের ৩ মাসে ছিল ৮ শতাংশ।