বাংলাদেশের রেকর্ড

১৩ অক্টোবর ২০২২

 যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) ৬৬৪ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে সে দেশের বাজারে রেকর্ড সৃষ্টি করছে বাংলাদেশে। আগের বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে রফতানির পরিমাণটা ৫৩.৫৪ শতাংশ বেশি হয়েছে এবার। রফতানিটা যুক্তরাষ্ট্রেরই ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে করা হয়েছে।  ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অটেক্সার তথ্য মতে, এ সময়ের হিসাবে গত বছরের চেয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি বেড়েছে ২৩২ কোটি ডলার। গত বছরে রফতানি ছিল ৪৩২ কোটি ডলারের পোশাক। তার  আগের বছরে (২০২০ সাল) ৩৪৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করা হয়েছিল। গত দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে।

পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এ কারণে পোশাকের বিক্রি কিছুটা কমেছে ব্র্যান্ডগুলোর বিক্রয়কেন্দ্রে। সম্প্রতি  পোশাক তৈরির ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিচ্ছে ওয়ালমার্ট, গ্যাপের মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু তাই নয়, চলমান ক্রয়াদেশও বিলম্বে জাহাজীকরণ করতে বলছে।

অটেক্সার তথ্য বলছে, চলতি বছরের এ ৮ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৬ হাজার ৯২৭ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে চীন থেকে, এক হাজার ৫৫৫ কোটি ডলারের পোশাক। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভিয়েতনাম, সেখান থেকে আমদানি করেছে এক হাজার ২৮০ কোটি ডলারের পোশাক। আর তৃতীয় অবস্থানে জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশ থেকে ৬৬৪ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এ ৮ মাসে সারাবিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৩৭.৩৫ শতাংশ। চীন থেকে বেড়েছে ৩৭.১৭ শতাংশ আর ভিয়েতনাম থেকে বেড়েছে ৩৩.৬২ শতাংশ। সে দেশের বাজারে শীর্ষ দশে থাকা পোশাক সরবরাহকারী দেশের মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পাকিস্তান থেকে যথাক্রমে ৫৬.৯০, ৫৬.৪৮, ৫১.৬৪, ৪২.৯৬ এবং ৪২.১৬ শতাংশ বেড়েছে দেশটির আমদানি। এদিছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ( ইপিবি) বলছে, দেশটির বাজারে গত দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি হয়েছে। একই সময়ের তুলনায় এ অঙ্ক আগের অর্থবছর থেকে  ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর