যৌথভাবে সৈন্য সমাবেশ করছে রাশিয়া-বেলারুশ

১৩ অক্টোবর ২০২২

রাজধানী কিয়েভ ও পুরো ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। মঙ্গলবারও হামলা চলেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রাইমিয়ার সেতুতে হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হচ্ছে। ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।

 

ওই বৈঠকে বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি। সেই সঙ্গে বেলারুশ সীমান্তে "আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক" মোতায়েন দাবি করেছেন তিনি।

 

তবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের বা বেলারুশ সীমান্তে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের জন্য জেলেনস্কির দাবির জবাবে তাৎক্ষনিকভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি জি-সেভেন নেতারা দেননি বলে জানা গেছে। বৈঠকে বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির জেলেনস্কি।

 

সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বেলারুশের বাহিনী মোতায়েন করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলভকে উদ্ধৃত করে বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বেলতা সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পোল্যান্ডসহ অন্যসব দেশের সামরিক হুমকি মোকাবেলা করার জন্যই এ আঞ্চলিক বাহিনীকে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে।

 

বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইউক্রেনের বাহিনীর অগ্রাভিযান ও ক্রাইমিয়ার সেতুতে হামলার কারণে ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ এ দেশটি।

 

যৌথ বাহিনীতে অন্তত একলক্ষ সেনা থাকবে, যাদের বেশিরভাগ বেলারুশের হবে বলে জানিয়েছেন  লুকাশেঙ্কো।


মন্তব্য
জেলার খবর