নদী রক্ষায় দরকার সমন্বিত উদ্যোগ

১৪ অক্টোবর ২০২২

দেশের নদ-নদী দীর্ঘদিন হচ্ছে দুষণ আর দখলের কবলে পড়ছে। এ দূষণের কারণে নদীর সঙ্গে জীবন ও জীবিকায় জড়িতরা আজ অনিশ্চিত জীবনযাপন করছেন। তাই নদী রক্ষায় গণমানুষের সম্পৃক্ততা, নদী রক্ষা আন্দোলনে জড়িতদের জবাবদিহিতা- সর্বোপরি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এতে নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা সম্ভব হবে। নদীকেন্দ্রিক জীবন ও জীবিকা শীর্ষক ‘অষ্টম নদীকথন অনুষ্ঠানে এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন বক্তারা। তারাই নদীকেন্দ্রিক জীবন ও জীবিকায় জড়িতদের অনিশ্চিত জীবনযাপনের কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম রাজধানী ঢাকার মিরপুরের কাউন্দিয়ায় তুরাগ নদীর তীরবর্তী শ্মশানঘাট এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কনসোর্টিয়ামের প্রধান শরীফ জামিল, রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেইন, আমীন বাজার ব্রিজ ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী লাল এবং মাঝি নিত্য বাবু রাজবংশী প্রমুখ। নদীদূষণ রোধ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বক্তরা বলেন, নদী রক্ষায় প্রণীত প্রকল্পগুলো নদী রক্ষার জন্য, নাকি ধ্বংসের জন্য তা বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিতে হবে। নগরায়নের একটি সেবা- মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ কাজটি জেলে সম্প্রদায় করে থাকেন। কিন্তু  নদী দুষণের কারণে নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ নেই। এ জন্য তারা বছরে আট মাস বেকার থাকছেন। তাই তাদের জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে। আরও তুরাগ নদী ঢাকার সবচেয়ে দূষিত নদী। এতে মাছ, নদীর সঙ্গে জড়িতো জেলে ও কৃষক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তুরাগ নদী রক্ষায় অপরিকল্পিত ও সমন্বয়হীন উদ্যোগ এ সমস্যার জন্য অনেকাংশে দায়ী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণায়ের সঙ্গে মাঝি সংগঠনের একটি কার্যকর পার্টনারশিপ তৈরি নদীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে বলেও মনে করেন তারা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর