লটারিতে জিতলেন পলাশ, হারলেন হেলাল!

১৭ অক্টোবর ২০২২

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:

পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সাইদুল ইসলাম পলাশ আর মো. হেলাল উদ্দিন সমান সংখ্যক সর্বোচ্চ ভোট পান। বিধান অনুযায়ী তাদের মধ্যে বিজয়ী নির্ধারণে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। এতে জিতে গেছেন পলাশ। পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চাটমোহর উপজেলা) এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট হয় এ নির্বাচনের। এ ওয়ার্ডের কেন্দ্র ছিল চাটমোহর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন। লটারি হয় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।

সাইদুল ইসলাম পলাশ আর হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে, তখন হেলাল সভাপতি আর পলাশ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্রলীগের স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের কণ্ঠে প্রকম্পিত হয়েছে চাটমোহরের রাজপথ। তাছাড়া এ দু’জনই জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবারের নির্বাচনে তারা ছাড়াও প্রার্থী হয়েছিলেন- এ,এইচ,এম কামরুজ্জামান খোকন, মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী এবং আমিনুল ইসলাম । খোকন স্থানীয় নিমাইচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। এ পাঁচজনের মধ্যে হেলাল আর পলাশ আলাদাভাবে ৬৩, খোকন ২৮, সাইদুল ৩ আর আমিনুল ১ ভোট পেয়েছেন। এ ওয়ার্ডে মোট ১৫৯ ভোটারের মধ্যে ১৫৮ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট গ্রহণ করা হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বিধান অনুযায়ী- উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা আর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা এ নির্বাচনের ভোটার।

সাইদুল ইসলাম পলাশ বলছিলেন- লটারি যখন হয়, তখন সেখানে হেলাল উদ্দিনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা দু’জন (পলাশ ও হেলাল) একসঙ্গে ছিলাম। লটারির বক্স আমাদের সামনে ছিল। হেলাল উদ্দিনের সম্মতিতেই আমি লটারির ‘কাগজ’ তুলি। সে কাগজে বিজয়ী লেখা ছিল। অপরটিতে লেখা ছিল পরাজিত। লটারির ফলাফলের বিষয়ে হেলাল ভাইয়ের কোনো আপত্তি নেই। তিনি ফলাফল মেনে নিয়েছেন। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, আমি সবার সঙ্গেই, সবাইকে সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে চাই; কোনো বিদ্বেষ নেই কারো প্রতি। লটারিতে জেতার পর হেলাল ভাই আর আমি কোলাকুলি করেছি। খোকন ভাইকে ফোন দিয়েছি...। বক্সে লটারির কাগজ এমনভাবে ভাজ করা থাকে, যাতে কাগজে কী লেখা আছে বুঝা না যায়।

এদিকে ভোট ঘিরে ভোটের দিন দিনভরই স্থানীয় রাজনীতিকদের মধ্যে নানা রকম হিসাব-নিকেশ চলেছে। ভোটের আলোচনায় সরব ছিলেন সচেতন মহল। ওদিকে ভোটকেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. মমতাজ মহল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন। নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে নিশ্চিতে কেন্দ্র এলাকায় মোতায়েন ছিল পুলিশ ও ও আনসার।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর