সচেতন হতে হবে সবাইকে

১৮ অক্টোবর ২০২২

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যেন কোনো রকম খাদ্যের অভাব না ঘটে, সে জন্য সচেতন হতে হবে সবাইকে। যার যতটুকু সামর্থ্য ও জমি আছে, সেখানে কিছু উৎপাদন করতে হবে। প্রয়োজনে ছাদকৃষি করতে হবে।  বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে সোমবার (১৭ অক্টোবর) এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী  খাদ্যের অপচয় বন্ধের পাশাপাশি খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া খাবার সংরক্ষণ করে পুনর্ব্যহার করার ও সাশ্রয়ী হওয়ার কথা বলেন। তিনি জানান, দেশে সরকারি, বেসরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক জায়গা আছে। সব জায়গায় কিছু উৎপাদনের দিকে নজর দিলে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ হলে বাংলাদেশ যেন খাদ্য যোগান দিতে পারে, সেই ব্যবস্থাটাই করতে হবে- যোগ করেন শেখ হাসিনা।

সংশ্লিষ্টদেরকে কৃষকদের উৎসাহিত করার তাগিদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, উৎপাদিত পণ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আমদানি নির্ভর পণ্য- ভোজ্যতেল, ভুট্টা উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে। কৃষক ভোজ্যতেল উৎপাদনে উদ্যোগী হলে আর আমদানি করতে হবে না।

‘সারা বিশ্বে যে দুর্যোগের ঘনঘটার আভাস পাচ্ছি, তার থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করুন। আমি বিশ্বাস করি সকলের প্রচেষ্টায় এটা করা সম্ভব।’- বলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও খাদ্যের পুষ্টিগুন তথা উপকারিতা নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা।

বহু পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। কীটনাশক মুক্ত শাক-সবজি উৎপাদনে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকার কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর