জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশন থেকে সরকারের হাতে গেলে আল্টিমেটলি এটা নিয়ে গণ্ডগোল হবে। তাছাড়া সরকার হঠাৎ এনআইডিটা কেন নিতে চায়, এর কোনও বোধগম্য উত্তর নেই। বুধবার (১৯ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে ইসির মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকেদের মুখোমুখি হন সাখাওয়াত হোসেন। অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ আদান-প্রদানমুলক এ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করেন।
এ প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, এতগুলো বছরে একটি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করেছে। এটা আলাদা হলে ভবিষ্যতে ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন আসবে- কোনটি ঠিক? ভোটার তালিকা ঠিক, না এনআইডি ঠিক? এনআইডির নাম, বয়স পরিবর্তন করলে ভোটার লিস্টের কী হবে? আল্টিমেটলি এটা নিয়ে একটি গণ্ডগোল হবে।
সাবেক এ কমিশনার বলেন, যেসব দেশে এনআইডি ও ভোটার তালিকা আলাদা রয়েছে,সেখানে ভোটার তালিকা নিয়ে গণ্ডগোল হচ্ছে। ইসিকে বলেছি, এ জায়গাটাতে সরকারকে বোঝাতে হবে। আল্টিমেটলি সরকার চাইলে আলাদা করে করতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাস থেকে কয়েক দফা চিঠি চালাচালির পর ২০ জুন ইসিকে চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়- জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম আইনানুগভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। এদিকে গত ১০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২২’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইনটি এখন পাসের জন্য সংসদে তোলা হবে।
এমকে