দেশে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ৮ জনসহ মোট ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ৪১৯টি ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ছয় হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ১০ লাখ মানুষকে প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় শেষে মধ্যরাত থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করে তারা, সকালের মধ্যে সবাই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন।
ঝুঁকিপূর্ণ জেলা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানবিক সহায়তার আওতায় ১৯টি জেলায় ৪৭৫ মেট্রিক টন চাল, ৯৫ লাখ টাকা, ১৯ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের বস্তা/প্যাকেট, ৬ হাজার ৪১১ কার্টন ড্রাইকেক (প্রতি কার্টুন ১.৫৬ কেজি), ৭ হাজার ৫৭৬ কার্টন বিস্কুট (প্রতি কার্টুন ১.৩২ কেজি) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এমকে