কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে ভোলায় ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার বাড়িঘরসহ প্রায় দুই লাখ মানুষ। জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলার ৪ টি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক হিসাবে প্রায় ২ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার ৮ শ’ ৯০টি বাড়ি আংশিক ও ১ হাজার ৪ শ’ ৩৩টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ৪ জন মৃত্যু হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় ক্ষতির পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে চেউয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম (৭০) ঘরচাপা পড়ে মারা গেছেন। দৌলতখান উপজেলায় পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডে সোমবার রাতে গাছচাপা পড়ে বিবি খাদিজা (৮০) মারা যায়। চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকায় সড়কে গাছ পড়ে মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মধ্যে একজন মারা গেছে ঘটনাস্থলে, আহত হয়েছে অপরজন। মারা যাওয়া আরোহীর নাম মনির হোসেন (৩০)। লালমোহনে লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ফাতেমাবাদ গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৫) পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে।
ভোলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, রাতে জোয়ারের উচ্চতা ছিল প্রায় ৫ মিটার, ৯ ফুটের কাছাকাছি। তবে ডিভিশন-১এর বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি। এদিকে সিত্রাং আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে সারা রাত কাটানোর পর সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে