সিত্রাংয়ের বেশি প্রভাব বিদ্যুতে

২৬ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব বেশি পড়েছে দেশের বিদ্যুৎ খাতে। ট্রান্সমিশনে খুব ক্ষতি না হলেও ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে গ্রাহক পর্যায়ের লাইনে সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। লাইন বিচ্যুত হওয়ায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবার বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফেরাতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার লোকজন। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোটাই স্বাভাবিক হওয়ার আশা প্রকাশ করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার( ২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে সিত্রাং। এ ঘূর্ণিঝড়ে সরকারি হিসাবে দেশে ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ৪১৯টি ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ছয় হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

ওদিকে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছিলেন, বিদ্যু সরবরাহ স্বাভাবিক করতে বিতরণ সংস্থার কর্মীরা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। ৮০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৭০ ভাগের সরবরাহ মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে স্বাভাবিক হয়েছে। বাকি ৩০ ভাগ শেষ করতে বুধবার দুপুর লাগবে।  এখন মূল টার্গেট- কত দ্রুত গ্রাহক পর্যায়ে লাইন ঠিক করে সংযোগ দেওয়া যায়। তবে লাইন ঠিক না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী জানান, বিতরণ সংস্থা আরইবি'র আওতায় ৬০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন, বিপিডিপিতে ৭ লাখ গ্রাহক, ওজোপাডিকোর আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহক এবং নেসকোতেও কিছু সংখ্যক গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোলা, পটুয়াখালী, চাদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী চট্টগ্রামে। বেশ কিছু উপকেন্দ্রে পানি উঠে গেছে। ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর